ইবি ছাত্রলীগ নেতার কন্ঠসদৃশ ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের অডিও ফাঁস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি তন্ময় সাহা টনির কণ্ঠের মতো শাখা ছাত্রলীগের কমিটির পদে রদবদল সংক্রান্ত একটি কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাসঁ হয়েছে।
অডিওতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধনের নাম শোনা যায়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে রদবদলের চেষ্টা করার কথা শোনা যায়।
গতকাল সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জান্নাতুল ফেরদৌস স্নিগ্ধা নামক আইডি থেকে অডিওটি ফাঁস হয়। ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়- ‘অভিনন্দন আমাগো দাদু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, হয়রে দল, হায়রে রাজনীতি, নেতা হতে গিয়ে নিজ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে দাদু। তোমার তো সংগঠন থেকে বহিস্কার শুধু না ফাঁসি হওয়া উচিৎ।’
১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ফাঁসকৃত অডিওটির চুম্বক অংশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বলা হয়, এখন যেহেতু ভাইস চ্যান্সেলর নাই, বাধন ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। ভাইকে বললাম ভাই। তিনি বললেন, যদি কপালে ঠিকঠাক থাকে তাহলে ভারপ্রাপ্ত (শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) করে দিবনে। ওর নামে যে এলিগেশন আছে কয়টা নিউজ করায়া, ওটা নিয়ে একটা ইস্যু করায়া, ওরে সরায়া আপনাকে দায়িত্ব দিয়ে দিবনে।
ফাঁসকৃত অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, ফাঁস হওয়া অডিওর সাথে আমার ভয়েসের নূন্যতম কোনো মিল নেই। কেউ আমাকে বিতর্কিত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসব ছড়াচ্ছে। আমি রাজনৈতিক জীবনে এমন কোনো কাজ করিনি, যার কারণে আমার ব্যক্তিগত ও সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধন বলেন, আমার ছয়মাস ওর (তন্ময় সাহা টনি) সাথে কোনপ্রকার কথা হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে আমি মাথা ঘামাই না। কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কোন কথা বলে থাকে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওকে আমাদের কোনপ্রকার হেল্প করার সুযোগ নাই।