একাধিক কুচক্রী মহল দেশের অন্যতম বৃহৎ ও স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান রশিদ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি’র সুনাম নষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর একটি মিথ্যা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুর রশিদকে নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। ‘চাল সিন্ডিকেটের মূল হোতা রশিদ গ্রেফতার’ শিরোনামে একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চক্রের সদস্যরা মূল ঘটনা আড়াল করে মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এহেন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। বিষয়টি আবদুর রশিদের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় তিনি প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ লিপিতে আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান রশিদ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো দুই হাজারের অধিক শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা চাকরি করেন। প্রতিষ্ঠানটি যাত্রার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে চাউল উৎপাদন ও অন্যান্য দ্রব্য বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের জনসাধারণের কাছে রশিদ গ্রুপের চাউল গুণে ও মানে সেরা। প্রতিযোগিতা মূলক বাজার ও বিশ্বে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির পরও আমাদের প্রতিষ্ঠানের চাউলের দাম এখনও বাজারনুপাতে বেশ কম। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রশিদ গ্রুপের সব মিলগুলি প্রতিষ্ঠা হয়। কুষ্টিয়াবাসী অবগত আছে, আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সর্বদাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম এবং আছি। কিন্তু বিগত সরকার ও তার নেতারা আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যা মামলার আসামি বানানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। বিগত সরকারের আমলে আমাদের দুটি পেপার মিলের কাজ শুরু করলেও প্রিমিয়ার ব্যাংক মাঝপথে এসে আমার ব্যাংক লোন দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তখন থেকেই আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো রুগ্ন হতে থাকে। আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বিগত সরকারের আমলে কোন ব্যাংক লোন পাইনি। আমি অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া সত্ত্বেও দেশের একটি টাকাও আমি বিদেশে নিয়ে যাইনি। আমার অথবা আমার কোন ভাইয়ের ছেলে মেয়ে দেশের বাইরে লেখাপড়া করেনি কিংবা দেশের বাইরে থাকেও না। তাছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদানুযায়ী আর্থিক সুবিধাদি মিলছে না। এছাড়া চাউলের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিভিন্ন সময় বিগত সরকারের একাধিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দাবি জানালেও তেমন কোন সমাধান মেলেনি। এখানে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট যেই সিন্ডিকেটের কথা উঠে এসেছে সেটি অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। রশিদ গ্রুপের সুনাম নষ্ট করতে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চক্র আমাদের প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আবদুর রশিদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ গ্রুপ